কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষক বন্ধু ও লক্ষ্মীর ভান্ডারে নতুনদের টাকা ঢোকা শুরু। কৃষক বন্ধু ও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুন আবেদনকারীদের টাকা ঢোকা শুরু। কথা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন ও পুরোনো আবেদনকারী, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কারা কবে টাকা পাবেন? যারা আগে টাকা পেতেন কিন্তু এখন টাকা পাচ্ছেন না, তাদের ভাতা পুনরায় বহাল রাখতে কি করতে হবে বিস্তারিত জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
গেল সপ্তাহে সাংবাদিক বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষক বন্ধু প্রকল্প খারিফ ফসলের টাকা দেওয়ার কাজ ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গেছে। নতুন আবেদনকারীদেরও যাচাইকরণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট প্রকল্পের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যে নতুন ১১ লক্ষ মহিলাকে সংযোজন করা হয়েছে তাদের টাকা দেওয়া হবে ৭-৯ মে এর মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ এই কাজ না করলে সামনের মাস থেকে আর রেশন পাবেন না উপভোক্তারা।
পুরোনো সুবিধাভোগীরা মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন। যারা আগে টাকা পেতেন কিন্তু এখন টাকা পাচ্ছেন না তাদের মূলত চারটি সমস্যা চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মী-আধিকারিকেরা। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা বন্ধ হওয়ার অভিযোগ পেয়ে এই সমস্যায় জর্জরিত মহিলাদের সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে অর্থদপ্তর।
এই সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের এক বিশেষ নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যেসকল মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার লিঙ্ক নেই, যারা তপশিলি হিসেবে আবেদন করেছেন কিন্তু জাতিগত শংসাপত্র আবেদনের সাথে জমা দেননি, যাদের সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই এবং যাদের পরিবারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। তাদের দ্রুত এই প্রক্রিয়া গুলি সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট কাজ সেরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র গ্রহণকারীদের নজরর বিষয়টি নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মিউজিশিয়ান হতে চান? এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন।
রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে আগে উক্ত চারটি বিষয় সঠিক তথ্যপ্রমাণ না থাকলেও লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্ডারে প্রচুর আবেদন জমান পড়ায় এবং অসাধু উপায় অবলম্বন করে কেউ যেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আত্মসাৎ করতে না পারেন তার জন্য এই প্রকল্পে টাকা পেতে উক্ত চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য এই চারটি ডকুমেন্টস বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই চারটি ডকুমেন্টস জমা করতে না পারলে আর লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাবেন না রাজ্যের মহিলারা।
এরম প্রতিদিন নিত্যনতুন আপডেট পেতে নীচের লিঙ্ক ক্লিক করে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপঃ Link