রাজ্যবাসীদের অতিরিক্ত ২৫,০০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ক্ষমতায় এসেই একাধিক জনদরদি প্রকল্পের সূচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, রুপশ্রী, যুবশ্রী জয় জোহর, তপশিলি বন্ধু, মানবিক প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। সেই তালিকায় আরেকটি সংযোজন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। কম আয়যুক্ত দুঃস্থ পরিবারগুলোকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে জটিল রোগের চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে বিনামূল্যে দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবার কে বছরে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এতদিন রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করতো রাজ্য সরকার। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনা, পেসমেকার বসানো, ল্যাবের অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের জন্য এখন থেকে অতিরিক্ত ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত দেবে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ পূর্বের ৫,০০০ এর স্থানে বর্তমানে ২৫,০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ দেড় লক্ষ প্রার্থীকে টেট পাসের সার্টিফিকেট প্রদান। নিয়োগ কবে? টেট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট।
অতিরিক্ত ২৫,০০০ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট উঠে এসেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ঘোষণায় সিলমোহর দিলেও কিছু কিছু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে চাইলে রোগীদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করছে। এমনই অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এমনকি চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলেও কার্ডে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগও ঢেড় ঢের।
এবার স্বাস্থ্য সাথী খাতে দুর্নীতি রুখতে একটি বিশেষ টিম তৈরি করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশমতো সমস্ত অভিযোগ নিরলসভাবে খতিয়ে দেখবে ওই তদন্তকারী দল। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ, যদি তদন্তে কোনো দুর্নীতি প্রমানিত হয় তবে স্বাস্থ্য সাথীর টাকা তছরুপের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। এমনকি হাসপাতাল গুলিকে ওই টাকা ফেরৎ দিতে হবে বলে এদিনের ঘোষণায় স্পষ্ট জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুনঃ সতর্ক হোন। ডিস্ট্যান্স পড়াশোনায় এই কোর্সগুলো বৈধ নয়। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিনের ঘোষণায় একদিকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আগের তুলনায় বেশী সুযোগ-সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্যের মানুষেরা। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য সাথী সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। দুর্নীতি প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।
এইরকম আরও সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের লেটেস্ট খবরের আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন নীচের দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে।
টেলিগ্রাম চ্যানেল: Link
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Link