বড় উপহার ভারতীয় রেলের। এই রুটে প্রথম চালু হচ্ছে ইলেকট্রিক ট্রেন।

রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ বাসী ও তৎসংলগ্ন এলাকাবাসীদের জন্য বড়ো সুখবর। এই সব এলাকার বাসিন্দাদের বড়ো উপহার ভারতীয় রেলের। রাধিকাপুর-বারসই রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল শুরু। ট্রেন চালু হতেই খুশির জোয়ারে ভাসছেন এলাকার মানুষেরা। ইলেক্ট্রিসিটি চালিত ট্রেন হওয়ায় একদিকে যেমন লোকালয় শহরগুলোতে যোগাযোগের সময় কমবে তেমনি ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় খরচও কমবে বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব রেল। পাশাপাশি ভ্রমণের সুবিধার্থে উত্তরবঙ্গে বাড়বে পর্যটক সংখ্যা।

   

বিগত কয়েকবছর ধরেই দেশজুড়ে রেল পরিষেবাকে বিশ্বমানের করে তুলতে রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে ভারত সরকার। সেই উন্নয়নের শরিক হিসেবেই ছোট ছোট ব্যস্ত শহর গুলিতে কারেন্ট চালিত লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেয় ভারতীয় রেল। বিগত কিছু বছর থেকেই উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ শহরের উপর দিয়ে যাওয়া বারসই-রাধিকাপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রক। মাসখানেক আগেই এই রুটে তড়িৎ চালিত ট্রেনের ট্রায়াল রান এর কাজ শেষ হয়। অবশেষে ইলেকট্রিক লাইনের কাজ শেষ হয়ে এদিন মঙ্গলবার সফলভাবে উদ্বোধন করা হয় রাধিকাপুর-বারসই লাইনে প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন।

আরও পড়ুনঃ- গঙ্গা নদীর ওপর ভেঙে পড়লো আস্ত ব্রিজ। স্তম্ভিত গোটা দেশ।

এদিন নতুন ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চালিত ট্রেন উদ্বোধনের প্রাকলগ্নে উপস্থিত ছিলেন কাটিহার ডিভিশনের Divisional Railway Manager শুভেন্দু কুমার চৌধুরী, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী সহ অনেকেই। বারসই-রাধিকাপুর লাইনে আপাতত দুটি ইলেকট্রিক ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে, কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, রাধিকাপুরের শহর ও গ্রামীণ এলাকার বহু মানুষের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার প্রধান ভরসা বারসই হয়ে রাধিকাপুর-শিলিগুরি রুটের লোকাল ট্রেন। অনেকে আবার কর্মসূত্রে বা চিকিৎসার জন্য বারসই পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে কলকাতা, শিলিগুড়ি বা দক্ষিণ ভারতের ট্রেন পাকড়াও করেন। তাই ইলেকট্রিক গতি সম্পন্ন লোকাল ট্রেন সাধারন মানুষের জন্য অনেকটাই সুবিধাজনক হবে বলে আশা রাখছে রেল।

পাশাপাশি গরমে অনেক পর্যটকই পাহাড়ে বেড়াতে যান। পাহাড়ে ঘুরতে গেলে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য বাস কিম্বা প্লেন উপলভ্য হলেও যারা বাজেটের মধ্যে ঘুরতে যেতে চান তাদের জন্য ট্রেন একেবারে পারফেক্ট। যদিও রাধিকাপুর হতে শিলিগুড়ি পর্যন্ত একটি ডেমু ট্রেন রয়েছে। এছাড়াও রাধিকাপুর থেকে কাটিহার পর্যন্ত ৬০ কিমি দূরত্ব চলাচলকারী দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে। তবু কাটিহার-বারসই-রায়গঞ্জ-কালিয়াগঞ্জ মার্কেট ও বাণিজ্য করার জন্য রাধিকাপুর বারসই রুটে এই ইলেকট্রিক ট্রেন একপ্রকার উপরিপাওনা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

আরও পড়ুনঃ- স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে কোন কোর্সে ও কোন ক্লাসে কত টাকা পাবেন বিস্তারিত জানুন।

চাকরি, স্কলারশিপ ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্বন্ধে সবধরনের আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন।

টেলিগ্রাম চ্যানেল:- Link

WhatsApp Group:- Link

Like Facebook Page