e-Shram কার্ড থাকলে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন। এভাবে আবেদন করুন।

আপনি কি সরকারি চাকরি করেন না? যদি আপনি পাব্লিক ফান্ডে কাজ করে থাকেন কিম্বা আপনি যদি কোনো প্রাইভেট সংস্থা বা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। হ্যাঁ বন্ধুরা। সরকারি চাকরি করেন না বা রোজগার কম এমন মানুষের জন্য একাধিক জনদরদি প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। তেমনই একটি প্রকল্প হলো ই-শ্রম কার্ড। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের মাধ্যমে আপনি প্রকল্প অনুযায়ী ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে মাসিক সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে যাবেন।

   

আর্থিক অবস্থা ভালো নয় এমন পরিবার এই কার্ডের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারের PMAY, PMJAY, PM Kisan সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। কেন্দ্রের বিভিন্ন যোজনা খাতে টাকা পাওয়ার জন্য এই কার্ডটি আধার কার্ডের মতোই গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গুরুত্ব পেতে চলেছে অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন যোজনার সুবিধা পেতে e-Shram কার্ডটিকে আবশ্যিক করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে। তাই আপনি যদি একজন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী হয়ে থাকেন তবে আজই কোনো তথ্য মিত্র কেন্দ্রে গিয়ে এই ই-শ্রম কার্ডটি বানিয়ে ফেলুন। এই কার্ড করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা নীচে আলোচনা করা হলো।

আরও পড়ুনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দামে নিলাম হওয়া ১০ টি জিনিস। দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

কারা e-Shram কার্ড করতে পারবেন?

  • কম আয় সম্পন্ন ব্যক্তি যারা আয় কর (Income Tax) দেন না তারা ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • আবেদনকারী এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন কিম্বা এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিওরেন্স কর্পোরেশন এর মেম্বার হলে এই কার্ডের সুবিধা নিতে পারবেন না।
  • ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে বয়স এমন সকল মহিলা ও পুরুষই এই e-Shram কার্ডটি করতে পারেন।

ই-শ্রম কার্ড করবার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন?

e-Shram কার্ডে নাম নথিভুক্ত করার জন্য কেবল আধার কার্ড, মোবাইল নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে। এই তিনটি ডকুমেন্টস থাকলে খুব সহজেই আপনি এই কার্ডটি বানিয়ে ফেলতে পারেন।

e-shram

কিভাবে আবেদন করবেন?

এই e-Shram কার্ডে নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রথমে eshram.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর ও আধার তথ্য দিয়ে নাম রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য সহযোগে এবং ব্যাঙ্ক ডিটেইলস দিয়ে নথিভুক্তরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে সাথে সাথেই ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

আপনি বাড়িতে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমেও কাজটি করতে পারেন। রেজিষ্ট্রেশন শেষে যে e-Shram কার্ডটি জেনারেট হবে সেটি স্মার্টফোনেও ডাউনলোড করতে পারেন, তবে কার্ডটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে সুযোগ সুবিধা পেতে এটির প্রিন্টআউট হার্ডকপি বের করতে হবে। তখন বাড়িতে প্রিন্টার না থাকলে CSC তে গিয়েই আপনাকে এই কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ পৃথিবীর উচ্চতম, বৃহত্তম ও দীর্ঘতম যে স্থানগুলি ভারতে রয়েছে। একনজরে দেখে নিন।

কোন কোন প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?

পারিবারিক ইনকাম কম বা ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না এমন পরিবারগুলি এই কার্ডের দ্বারা মোট ২৫ টি যোজনার সুবিধা নিতে পারবেন। Ayushman Bharat যোজনায় চিকিৎসার জন্য প্রতিটি পরিবার বছরে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সাহায্য পাবেন সরকারের তরফে। PM Kisan যোজনায় প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং Atal Pension যোজনায় মাসিক সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা পেয়ে যাবেন ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত থাকলে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, মানধন যোজনার মতো একাধিক জনদরদি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে এই কার্ডের মাধ্যমে

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত ২০ কোটিরও বেশি ভারতবাসী এই জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং ২ কোটিরও বেশি মানুষ এই কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। অবশিষ্ট নাম নথিভুক্তকারীদের ও ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। যেহেতু সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এই কার্ডের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে, তাই আজই এই কার্ড তৈরী করে রাখুন। ভবিষ্যতে সরকারের সমস্তরকম সুযোগ-সুবিধা পেতে আধার কার্ডের মতোই ই-শ্রম কার্ডের গুরুত্ব বাড়ছে।

Like Facebook Page