আধার-প্যান-ভোটার কার্ড এখন অতীত। দেশে আসতে চলেছে নতুন এই কার্ড।

আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড সহ অন্যান্য পরিচয় পত্র বহনকারী কার্ডগুলি এখন অতীত। কেননা এই কার্ড গুলির বিকল্প হিসেবে দেশে আসতে চলেছে নতুন এক কার্ড। সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে এমনই খবরের আপডেট উঠে এসেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উক্ত আইডিগুলির পরিপূরক এই কার্ডে আধার, ভোটার, প্যান সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নথি (পরিচয়পত্র) গুলির সমস্ত তথ্য এই একটি মাত্র কার্ডেই উল্লেখ করা থাকবে। দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জালিয়াতি কমাতেই কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

   

বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে আরও খবর, আধার, ভোটার, প্যান, জন্ম সার্টিফিকেট ও অন্যান্য সমস্ত কার্ডের তথ্য যে একটি কার্ডে নথিভূক্ত থাকবে সেই কার্ডটি মাল্টিপারপাস কার্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে। এই কার্ড চালু হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জন্ম-মৃত্যুর ও জনসংখ্যা সঠিক বিশ্লেষণ থাকবে কেন্দ্র সরকারের হাতে। এছাড়াও এই কার্ড প্রণয়নের ফলে আধার-ভোটার-প্যান কার্ড জালিয়াতি ও অন্যান্য দুর্নীতির মতো ঘটনার সংখ্যাও হ্রাস পাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

২০১৯ এ দেশজুড়ে NCR করতে উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ২০২০ তে করোনা আসার পর একুশ সালে জনগণনা করতে পারেনি সরকার। অতিমারীর পর দুই বছর বন্ধ ছিল Census। এই বছর ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করলেও জনগণনার তথ্য বিশ্লেষণ অনলাইনে করতে চাইছে সরকার। এই নিয়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সাথে আলোচনা পর্বও সেরে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার।

আরও পড়ুনঃ- বছরে দু’বার হবে SSC MTS পরীক্ষা। দিনক্ষণ ও নোটিশ ঘোষণা স্টাফ সিলেকশন কমিশনের।

তবে কেন্দ্র সরকারের আধিকারিক সূত্রে খবর, করোনার কারণে কাজের গতি স্লথ হলেও ২০২৪ এর মধ্যে মাল্টিপরপস কার্ড লাগু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদি সরকার। আর এই কার্ড একবার চালু হলে একদিকে যেমন জন্ম মৃত্যুর আপডেট সরাসরি National Population Register এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ফাইলে তথ্য জমা হবে। অন্যদিকে, মৃত ব্যক্তির ভোটার কার্ডের মাধ্যমে ভোট জাল করাও বেশ শক্ত হবে। পাশাপাশি সমগ্র দেশের সাম্প্রতিক জনসংখ্যা সম্বন্ধে একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।

এই প্রসঙ্গে ভারত সরকারের অফিস অফ দ্য রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার এক সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, আগে জনগণনা করতে বেশি সময় লাগত এবং কেবল সার্ভের মাধ্যমে জনগণনায় পুরোপুরি সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব ছিল না। তবে Multipurpose Card প্রণয়নের ফলে ও ডিজিটাল সেন্সাসের ফলে, জনগণনা কম সময়ে সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি, নির্ভুল জনসংখ্যার অনেকটা কাছাকাছি রাশিমালা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তথ্য বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুনঃ- ইন্সপায়ার শি স্কলারশিপে আবেদন করুন এবং পেয়ে যান ভালো পরিমাণ টাকা।আবেদন প্রক্রিয়া জানুন।

এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জুড়ুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে।

টেলিগ্রাম চ্যানেল:- Link

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ:- Link

Like Facebook Page