বাংলা শস্য বীমা যোজনায় আবেদন করুন আর পেয়ে যান ফসল ক্ষতির টাকা। বিস্তারিত জানুনI

কৃষকদের জন্য সুখবর। এখন আপনার রোপণ করা ফসলের বীমা করুন এবং ফসল নষ্ট হলে পেয়ে যান ক্ষতিপূরণের টাকা। এই প্রকল্পের সুবিধা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার দেয় না। Agricultural Insurance Company of India Limited (AICIL) এর পক্ষ থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করে থাকে এই কোম্পানি।

   

বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন, কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, কত টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয় বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়তে অনুরোধ করা হচ্ছে।

বাংলা শস্য বীমা কি?

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি একপ্রকার বীমা (Insurance)। প্রাকৃতিক দুর্যোগের (খরা, বন্যা, ভূমিকম্প, ঝড়) কারণে ফসলের ৭৫ শতাংশ ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন চাষীরা। এর জন্য চাষীদের AICIL এ আবেদন করতে হবে।

আরও পড়ুন: যুবশ্রী প্রকল্প ২০২৩ এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু। আবেদন করলে পাবেন মাসিক ১,৫০০ টাকা উৎসাহ ভাতা।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

আবেদনকারীর নামে চাষযোগ্য জমি থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ৭৫ ভাগ নষ্ট হলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন কৃষকেরা। একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে জমি থাকলে সকলেই যোগ্য।

কত টাকা পাওয়া যায়?

এই প্রকল্পে আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য যাচাই করে ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। অনেক আবেদনকারীর অভিযোগ, তারা টাকা পাচ্ছেন না। মনে রাখবেন, ফসল ক্ষতির ভাগ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কোম্পানি পর্যবেক্ষণ করে। ফসলের ৭৫ শতাংশ ক্ষতি হলে তবেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন নচেৎ নয়।

কয়বার আবেদন করতে হয়?

এই প্রকল্পে সুবিধা নিতে চাইলে আবেদননকারীকে বছরে দুইবার আবেদন করতে হবে। খারিফ ফসলের জন্য জুন-জুলাই মাসে এবং রবি ফসলের জন্য ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।

কোথায় আবেদন করবেন?

বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে আবেদনের জন্য নিকটবর্তী ব্লক অফিস অথবা জেলা কৃষি অধিকর্তার অফিসে গিয়ে আবেদন পত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহযোগে ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করুন এবং সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে জমা দিন।

পিএম কিষাণ/কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে আবেদন করা যাবে?

এটি যেহেতু কোনো সরকারি যোজনা নয় তাই প্রধানমন্ত্রী কৃষি সন্মান নিধি কিম্বা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলেও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।

কত প্রিমিয়াম দিতে হয়?

এই বীমায় নাম রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য পাঁচ বছরে একবার বা প্রতি বছর হিসেবে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে জমা করতে হয়। তবে বাংলা শস্য বীমায় নাম নথিভুক্তের সময় রাজ্য সরকার প্রিমিয়ামের পুরো টাকা কোম্পানিকে দিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি ফ্রী তেই এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। কিছু বানিজ্যিক ফসল যেমন আলু, আখ, আখরোট ইত্যাদির জন্য রাজ্য সরকার কিছু টাকা এবং আপনাকে আংশিক টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে দিতে হবে।

Like Facebook Page