বাংলার যুবক-যুবতীকে ২ লাখ টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মিলবে সাবসিডিও।

রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের ২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বেকার চাকরিপ্রার্থীরা একটা স্থায়ী চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত তারা যাতে ব্যাবসা করে অন্তত কিছু পরিমাণ রোজগার করতে পারেন তার জন্য বিরাট উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই টাকা কিভাবে পাওয়া যাবে, কোথায় কিভাবে আবেদন করবেন, আবেদনের জন্য কি কি নথি প্রয়োজন বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

   

রাজ্যের বেকার যারা রয়েছেন, এই সুবিধা পেতে কর্ম সাথী প্রকল্পে আবেদন করতে হবে তাদের। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনদরদি প্রকল্পের সূচনা করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। এটি তার মধ্যে অন্যতম সংযোজন। পশ্চিমবঙ্গে লেখাপড়া করে এখনো পর্যন্ত যারা চাকরি পাননি- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত তাদের ২ লক্ষ টাকা ঋণ দেবে রাজ্য সরকার। এই অর্থকে কাজে লাগিয়ে কোনো ক্ষুদ্র ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন বাংলার চাকরি হীন বেকাররা। সেই উদ্দেশ্যেই ২০২০ তে এই প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আবেদন যোগ্যতা:-

এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই,

১) পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
২) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বীকৃত যেকোনো বোর্ড হতে কমপক্ষে 10TH ও 12TH পাস করে থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ- জোড়া সুখবর। জুলাইয়ে ডিএ।ভোটের আগে অষ্টম পে কমিশনে বাড়তে চলেছে সরকারি কর্মীদের বেতন।

কর্ম সাথী প্রকল্পে আবেদন পদ্ধতি:-

কর্ম সাথী প্রকল্পে আবেদন করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিশিয়াল সাইটে গিয়ে হোম পেজে যান। এরপর Scheme এ ক্লিক করুন। এবারে পরবর্তী পেজটি ওপেন হবে। Karma Sathi Prakalpa তে ক্লিক করলে আবেদন পত্রটি আপনার সামনে স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। প্রয়োজনীয় নথি সহযোগে আবেদন পত্রটি ভালোভাবে পূরণ করুন এবং সমস্ত তথ্য যাচাই করে Submit করুন। আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নির্দিষ্ট ফর্ম্যাট এ স্ক্যান করে আপলোড করবেন।

প্রয়োজনীয় নথি:-

এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলো প্রয়োজন।

১) আধার কার্ড জেরক্স।
২) ভোটার কার্ডের কপি।
৩) পাসপোর্ট মাপের কালার ছবি।
৪) স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট।
৫) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র।

karma-sathi-prakalpa

ঋণ কোথায় মিলবে?

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে যোগ্য প্রার্থীদের এই সহায়তা ঋণ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রথমে আবেদনকারীদের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে সেই তালিকা থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের সহায়তা ঋণ দেওয়া হবে।

কত টাকা ঋণ দেওয়া হয়?

ক্ষুদ্র ব্যাবসা ও শিপ্ল কর্ম করার জন্য কর্ম সাথী প্রকল্পে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা ঋণ দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। রযেছে সাবসিডিও। পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে এক চতুর্থাংশ টাকা পর্যন্ত ছাড়ও দিয়ে থাকে রাজ্য।

আরও পড়ুনঃ- রাতের ঘুম উড়ে গেছে? জানুন অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ কিছু উপায়।

এমন সব আরও নিত্যনতুন খবরের খুটিনাটি আপডেট পেতে এখনি আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল এ যোগদান করুন।

Telegram Channel:- Link

Like Facebook Page