রাতে ঘুম আসছে না? জানুন অনিদ্রা বা ইমসমনিয়ার কারণ। এই টিপসগুলি মানলে ঘুম আসতে বাধ্য।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ঘুম মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। শরীর কে সুস্থ-সবল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। মানব শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও পেশিকে সতেজ রাখতে এবং ব্রেইন কে রেস্ট দিতে ঘুমের বিকল্প নেই। ক্লান্তি হোক বা অবসাদ, এক প্রহর ঘুম যেন মেডিসিনের মতো কাজ করে থাকে শরীরে। তবে আজকাল কাজের চাপে পড়ে অনেককেই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া রোগে ভুগতে দেখা যায়। এই রোগের কারণে রাতজুড়ে অনেকেই দুচোখের পাতা এক করতে পারেন না।

   

যদিও বয়স বৃদ্ধির সাথে ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়া ব্যস্তানুপাতিক। তবে শরীরে ক্লান্তি অনুভূতি হলে একটু ঘুমিয়ে রেস্ট নেওয়া বেশ ফলপ্রসূ। পর্যাপ্ত ঘুম যেন স্বাভাবিক সুস্থ শরীরের খাদ্যের সমান। চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ স্বাভাবিক পরিণত মানুষের সারাদিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে মানসিক চাপ হোক কিম্বা নেশাসক্ত হওয়া, অনেক কমবয়সীদের ক্ষেত্রেই রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আজ আলোচনা করবো ঠিক কি কি অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ এবং এর থেকে মুক্তির উপায়ই বা কি?

আরও পড়ুনঃ- ছাত্র-ছাত্রীরা পাবেন ৪৮,০০০ টাকা। আবেদন করুন ONGC স্কলারশিপে।

রাত্রে ঘুম না আসার কারণ:-

নিম্নলিখিত কারণে মানুষের জীবনে অনিদ্রা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে।

১) অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করলে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।

২) ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়লে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

৩) অতিরিক্ত পরিমাণে স্মার্টফোন ঘাটা, অধিক সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করা বা গভীর রাতে কাজ করা রাতে ঘুম না আসার অন্যতম প্রধান কারণ।

৪) অত্যধিক পরিমাণে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ একজন মানুষের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

৫) প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট টাইমে ঘুমোনোর অভ্যাস না করলে অনেক সময়ই ঘুম আসতে চায় না।

৬) ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা হলেও রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

৭) ডাক্তারী মতে নিয়মিত অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করলেও ইনসমনিয়া রোগে ভুগতে পারেন মানুষ।

আরও পড়ুনঃ- প্রত্যেক পড়ুয়া পাবেন ৩৩,০০০ টাকা পর্যন্ত। আবেদন করুন ঐক্যশ্রী মাইনরিটি স্কলারশিপে।

অনিদ্রা রোগের প্রতিকার:-

নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করলে চোখে ঘুম আসবে ভরে ভরে। হবে দু চোখের পাতা এক!

১) ক্যাফেইন, ধূমপান, অ্যালকোহল বা অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন হ্রাস করতে হবে।

২) পরিশ্রম করলে শরীরে ক্লান্তি আসে। ফলে ঘুম পায়। কাজেই কায়িক পরিশ্রম না হলে ব্যায়াম ও যোগাসন করুন। এতে রক্ত চলাচল ভালো হলে ভালো ঘুম আসবে।

৩) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নান করুন। হালকা গরম জলে স্নান করলে শরীরের পেশি শিথিল হয়। ফলে ঘুম ভালো হয়।

৪) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না বা মানসিক চাপ নেবেন না।

৫) একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোনোর অভ্যাস করুন।

৬) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, দুধ ইত্যাদি বেশি করে ইনসমনিয়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৭) ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খাবেন না।