পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়ো স্কলারশিপ। শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৮,০০০ টাকা করে পাবেন।

পশ্চিমবঙ্গ বাসী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সুখবর। যেসকল ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনায় ভালো, মোটামুটি বা পরীক্ষায় পাস নম্বর নিয়ে পাস করেছেন, তাদের সকলকেই উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। তবে জানেন কি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেয় সবচেয়ে বড়ো স্কলারশিপ কোনটি? এর আওতায় কত টাকা পাওয়া যায়? কারা কারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন? আবেদনের জন্য কি কি নথি প্রয়োজন ও আবেদন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়তে অনুরোধ করা হচ্ছে।

   

শিক্ষার্থীদের জানিয়ে রাখি রাজ্য সরকার দেয় সবচেয়ে বড়ো স্কলারশিপ টি হলো বিকাশ ভবন স্কলারশিপ বা SVMCM Scholarship, যা রাজ্যের পড়ুয়াদের মেধা ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়ে থাকে। ২০১৬ সাল থেকে রাজ্য সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দু:স্থ ও মেধাবী পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে এই স্কলারশিপ পোগ্রামটি চালু করে। এই বৃত্তি পাওয়ার জন্য খুব বেশি নম্বরের প্রয়োজন নেই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ ও স্নাতকে ৫৩ শতাংশ নম্বর পেলেই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন বিদ্যার্থীরা।

কারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন?

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে যথাক্রমে একাদশে ও স্নাতকে ভর্তি হলে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও স্নাতকে ৫৩ শতাংশ ও স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেও এই স্কলারশিপে জন্য আবেদন করতে পারবেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় K2 ও K3 তে নাম নথিভুক্ত থাকলে আগের বার্ষিক পরীক্ষায় ৪৫% নম্বর পেলেও এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে। রেগুলার কোর্সে পাঠরত স্টুডেন্টরাই এই স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্য। তবে সর্বোচ্চ এক বছরের এক বছরের গ্যাপ থাকলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে এই স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে।

এছাড়াও আবশ্যিক যোগ্যতা হিসেবে পড়ুয়াদের পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঠরত হতে হবে। কেবল গবেষণার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা বাইরের রাজ্যে পড়াশোনা করলেও এই স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্য।

আরও পড়ুনঃ- অনার্স না পাস কোর্স? আপনার জন্য কোনটা উপযুক্ত? কত নম্বর পেলে অনার্স পাবেন? কোন কোর্স করলে তাড়াতাড়ি চাকরি পাবেন? 10+2 তে সায়েন্স পড়লে কলেজে আর্টস নেওয়া যাবে?

স্কলারশিপের পরিমাণ:-

SVMCM স্কলারশিপ এ আবেদনকারী যোগ্য প্রার্থীরা প্রতি মাসে কোর্স অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮,০০০ টাকা করে পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বছরে সর্বনিম্ন ১২,০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯৬,০০০ টাকা পর্যন্ত পাবেন এই স্কলারশিপের অধীনে। B.Tech. ও MBBS কোর্সে পাঠরত পড়ুয়ারা প্রত্যেক মাসে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পাবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া:-

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়ো স্কলারশিপে আবেদনের জন্য (নতুনদের ক্ষেত্রে) আবেদনকারী কে svmcm.wbhed.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য একটি বৈধ ইমেইল আইডি ও মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন হবে। রেজিষ্ট্রেশন এর মাধ্যমে পাওয়া Applicant Id ও Password দিয়ে লগইন করে অনলাইন আবেদন পত্রটি উপযুক্ত ডকুমেন্টস এর সাহায্যে যত্ন সহকারে পূরণ করুন এবং সমস্ত তথ্য পুনরায় খতিয়ে দেখে দরখাস্ত সাবমিট করুন। আবেদনের সময় সিগনেচার, ছবি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নির্দিষ্ট সাইজ ফর্ম্যাটে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

Submission, Successful হলে কম্পিউটার জেনারেটেড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোডের মাধ্যমে প্রিন্ট করে নেবেন ভবিষ্যৎ রেফারেন্সের জন্য। আবেদনের ২-৩ মাস বাদে উক্ত Applicant Id দিয়ে আপনার আবেদন করা দরখাস্ত কি অবস্থায় আছে তা উপরে উল্লিখিত সাইটেই দেখতে পাবেন।

biggest-scholarship-of-west-bengal

প্রয়োজনীয় নথি:-

বিকাশ ভবন স্কলারশিপে আবেদনের জন্য দরকারি নথি গুলি হলো:- আধার কার্ড, মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশীট, পাসপোর্ট মাপের রঙিন ছবি, নতুন কোর্সে ভর্তির স্লিপ, BDO/SDO -র বাসিন্দা সার্টিফিকেট ও পরিবারের বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স। এছাড়াও আবেদনের সময় সিগনেচার এর প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ- একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার মোক্ষম ওষুধ। এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে একাকী জীবনে আনন্দের সঞ্চার হবে।

আবেদনের শুরু ও শেষের তারিখ:-

প্রত্যেক বছর মোটামুটি September থেকে October এর মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এবার ভোটের কারণে আবেদন প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু হবে।

রাজ্য সরকারের অন্য সব স্কলারশিপ সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে নিচে আমাদের ফলো করুন।

টেলিগ্রাম চ্যানেল:- Link

গুগল নিউজ:- Link

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ:- Link

Like Facebook Page