মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের একাধিক সাংসদ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, GST এর বকেয়া টাকা পশ্চিমবঙ্গ কে দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যেরই প্রাপ্য জিএসটির টাকা বাকী নেই। এই প্রসঙ্গে পার্লামেন্টের রাজ্যসভায় বিষয়টি খোলসা করেন কেন্দ্রীয় আয়কর মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বহুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদেরা পার্লামেন্টে জানিযেছিল রাজ্যের প্রাপ্য আয়কর, বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও জিএসটি সমেত কেন্দ্রের কাছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি পায় রাজ্য সরকার। এদিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, জিএসটির টাকা বকেয়া রয়েছে একথা সত্য নয়। বাংলা কেন? কোনও রাজ্যেরই জিএসটির ভাগের টাকা আটকে রাখেনি কেন্দ্র।
এদিন পার্লামেন্টে রাজ্যের উক্ত দাবিদাওয়া ও প্রশ্নের যুক্তি-উত্তর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট রাজ্যের অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল এর ছাড়পত্র (এজি এর সার্টিফিকেট) এসে না পৌঁছালে এবং রাজ্য সরকার টাকা ছাড়তে না বললে জিএসটির টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই। তিনি কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে জানান, কেরালা সরকার এজি এর সার্টিফিকেট জমা করলেও কেরল সরকার জানায়, রাজ্য সরকার না বলা পর্যন্ত করের টাকা যেন না দেওয়া হয়।
বিগত চারবছর ধরে AG এর সার্টিফিকেট জমা না করায় পশ্চিমবঙ্গের তরফে করের টাকা রাজ্যকে ছাড়া হয়নি। বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়াও এজি এর সার্টিফিকেট জমা না করায় জিএসটির প্রাপ্য টাকা পায়নি। তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে কেবল কর্ণাটক সরকার Accountant General এর ছাড়পত্র জমা করেছে।
আরও পড়ুনঃ- কপাল খুলে গেল কৃষকদের। রাজ্যের কৃষকদের নগদ পুরস্কার ও ট্রাক্টর উপহার দিতে চলেছে সরকার।
এদিন বৃহস্পতিবার মমতা-মোদী বৈঠকের পর বরফ কিছুটা গলেছে। এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা, জিএসটির বকেয়া টাকা এর আলোচনার জন্য সময় চান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই কয়েকজন সাংসদ কে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সংক্রান্ত দীর্ঘক্ষণ বিস্তারিত আলোচনা করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এরপরেই রাজ্যেকে বিভিন্ন প্রকল্প ও জিএসটি বাবদ ৫৪৮৮ কোটি টাকা দেয় রাজ্য সরকার।
এরকম আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্কলারশিপ, চাকরি ও প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত ও নিত্যনতুন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট পেতে আমাদের নিচের সামাজিক মাধ্যমে অনুসরণ করতে পারেন। ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ:- Link
টেলিগ্রাম:- Link