এবার রাজ্যের এই সকল মহিলাদের প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব বিধানসভায়।

বাংলার জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত মহিলারা প্রত্যেক মাসে ১,০০০ টাকা এবং জেনারেল ও অন্যান্য ক্যাটেগরি অন্তর্ভুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পেয়ে যাচ্ছেন। তিন বছর ধরে রোজগার হীন বা কম আয়সম্পন্না বঙ্গের মা-মেয়েরা রাজ্য সরকারের এই জনহিতকর প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা লাভ করে চলেছেন। মূলত রাজ্যের বেরোজগার মহিলাদের ন্যূনতম আয়ের বন্দোবস্ত করতেই এই মহতি উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।

   

লক্ষ্মীর ভান্ডারে পশ্চিম বাংলার মহিলারা ৫০০, ১০০০ টাকা করে পেলেও, বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এই প্রকল্পের অধীনে মাসিক ভাতার (টাকার) পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি ওঠে উক্ত প্রকল্পের সুবিধাভোগী মহিলাদের তরফে। এবারে আরও এক ক্যাটেগরির মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের মাসিক ভাতার পরিমাণ ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ টাকা করার প্রস্তাব ওঠে রাজ্যের বিধানসভায়। সেইজন্য আশায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ওই শ্রেণীর মহিলারা।

সম্প্রতি ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর বিধানসভায় দাবি ও প্রস্তাব রাখেন, তিনি বলেন রাজ্যের তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত মহিলাদের যেভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ১,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, সেভাবে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম মহিলাদের কি একইভাবে প্রতিমাসে হাজার টাকা করে দেওয়া সম্ভব? বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই প্রস্তাব রাখেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর।

আরও পড়ুনঃ- পড়ুয়াদের ৯,০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। জলদি আবেদন করুন।

উক্ত প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য, শিশু, নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের এই বাড়তি টাকা ধর্মীয়ভাবে কাউকেই দেওয়া হয় না। রাজ্যের প্রান্তিক মহিলাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভেবে তাদের জন্য এই বাড়তি আর্থিক সুবিধা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রদান করা হচ্ছে। এরপর হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, হ্যাঁ ধর্মীয়ভাবে যে এটা করা হয়নি তা আমি বুঝেছি। তবে প্রান্তিক মানুষদের কথা ভেবে অন্ততপক্ষে ওবিসি মুসলমান মহিলাদের প্রত্যেক মাসে ১,০০০ টাকা করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

স্পষ্টতই বিধানসভায় ডেবরার তৃণমূল বিধায়কের উক্ত প্রস্তাবের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে হাজার টাকা করে পাওয়ার আশায় রয়েছেন সংখ্যালঘু ওবিসি মহিলারা। তবে হুমায়ূন কবীর বিধানসভায় কেবল এই বিষয়ে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনোরূপ ঘোষণা করা হয়নি। নবান্ন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ভবিষ্যতে সকল মহিলাকে বাড়তি টাকা দেওয়া হতে পারে।

এমন সব গুরুত্বপূর্ণ খবরের সর্বশেষ আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক এ অনুসরণ করুন।

টেলিগ্রাম:- Link

ফেসবুক:- Link

Like Facebook Page