কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে আবেদন করুন এবং পেয়ে যান ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

কিষাণ ক্রেডিট কার্ড হলো কৃষকদের জন্য স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ। কেন্দ্র সরকারের কৃষি মন্ত্রক দেশের সমস্ত রকম চাষিদের মূলত চাষবাস সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি কেনা, ফসল বোনা ও ফসল কাটার খরচ, জমিতে জল ও সার দেওয়া সহ অন্যান্য কাজের জন্য এই ঋণ দিয়ে থাকে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে কারা আবেদন করতে পারবেন, কিভাবে আবেদন করবেন, কি কি নথি প্রয়োজন সমস্ত তথ্য নীচে আলোচনা করা হলো।

   

কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের উদ্দেশ্য:-

১৯৯৮-‘৯৯ সালে তৎকালীন NDA সরকার প্রথম এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা চালু করে। কৃষিকাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান ও ভারতীয় কৃষিব্যবস্থার উন্নতিকল্পে কৃষকদের এই ক্রেডিট কার্ড প্রদান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। মূলত কম সুদের হারে চাষীদের কৃষিকাজে সহায়তা করতেই এই লোন দিয়ে থাকে কেন্দ্র সরকার।

কারা আবেদন করতে পারবেন/শর্তাবলি:-

• আবেদনকারী কে একজন কৃষক বা চাষি হতে হবে যার নিজের নামে চাষযোগ্য জমি রয়েছে। অথবা, ভাগচাষী কিম্বা জমি এগ্রিমেন্ট বা আদি নিয়েছেন এমন চাষি, তবে সেক্ষেত্রে এই কার্ডের সুবিধা নিতে আবেদনকারীর নামে জমির রেকর্ড বের করতে হবে।
• আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
• এই কার্ডে আবেদনের জন্য কোনোরূপ শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না।
• আবেদনকারীর বয়স ষাটোর্ধ্ব হলে তার পরিবারের কোনো সদস্যকে আবেদনের সময় উত্তরাধিকারী হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।
• কৃষিকাজের জন্য জমির মালিক, জমি লিজ নেওয়া চাষিও যৌথভাবে এর জন্য আবেদন জানাতে পারেন।

আরও পড়ুন: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য নতুন স্কলারশিপ। এখুনি আবেদন করুন।

কিভাবে আবেদন করবেন?

কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য অনলাইন বা অফলাইনে দুইভাবেই আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনের জন্য আপনাকে pmkisan.gov.in এই ওয়েবসাইট গিয়ে আবেদন করতে হবে। আর অফলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে আবেদন পত্র প্রিন্ট করে ও সমস্ত তথ্য ভালোভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথি সহ যে ব্যাঙ্ক কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লোন দিয়ে থাকে সেই ব্যাঙ্কে কিম্বা কৃষি অধিকর্তার অফিসে গিয়ে জমা করতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথি:-

কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করতে হবে।

• পরিচয় পত্র (আধার/ভোটার কার্ড)।
• পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো।
• ঠিকানার প্রমাণপত্র/বাসিন্দা সার্টিফিকেট।
• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস।

লোনের পরিমাণ, সুদের হার ও ঋণের মেয়াদ:-

আবেদনাকারীর জমির পরিমাণ অনুযায়ী লোন পেয়ে থাকেন সুবিধাভোগীরা। সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। ঋণের মেয়াদ ৩ বছর। ন্যূনতম সুদের হার ৪% সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। সময়ের আগে লোন শোধ করলে সুদে অনেকটাই ছাড় মেলে।

কি কি সুবিধা পাবেন?

• ফসল রোপণ, ফসল তোলার জন্য ঋণ।
• জমিতে সার, জল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য টাকা।
• মাছচাষ, গবাদিপশু পোলট্রি সংরক্ষণের খরচ।
• কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে আবেদন করলে আপনি Pradhan Mantri Suraksha Bima Yojona (বার্ষিক ১২ টাকা) অথবা Pradhan Mantri Jeevan Jyoti Yojona (বার্ষিক ৩৩০ টাকা) তে জীবন বীমার সুযোগ পাবেন।

Like Facebook Page