ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেই চব্বিশে নির্বাচনের আগে টাকা দিচ্ছে বিশেষ কোম্পানি। কি কারণে টাকা দেওয়া হচ্ছে? কারা কারাই বা এই টাকা পাবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।
সম্প্রতি এগারো লক্ষ রাজ্যবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দিচ্ছে বিমা কোম্পানি। এর জন্য ব্যয় একশো দুই কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের তৎপরতায় এই টাকা পেতে চলেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। যারা টাকা পাননি তারাও ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে যাবেন।
বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে এইমাত্র গুরুত্বপূর্ণ আপডেট উঠে এসেছে, ১১ লাখ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খারিফ সিজনের ফসল বিমার টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা শস্য বিমা যোজনার আওতায় খারিফ ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে মোট ১০২ কোটি টাকা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছে বিমা কোম্পানি।
চাষিদের কষ্টার্জিত টাকায় ফলানো ফসল প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা পশুর কারণে নষ্ট হলে বিমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন কৃষকেরা। যদিও প্রাথমিক ভিত্তিতে বিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। তবে এই বিমার কারণে ফসল নষ্ট হলে কৃষকেরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাওয়ায় তাদের আর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না।
রাজ্য সরকার কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং চাষিদের আয় বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ২০১৯ এ বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প চালু করে। ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা কৃষকদের ফসল বিমা প্রদান করেছে Corp Insurance Company। উল্লেখ্য, স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আবহাওয়া তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জমি চিহ্নিত করে বিমার ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
আরও পড়ুনঃ- সঠিক স্থানে ঝাঁটা রাখলে সংসারে চুম্বকের মতো টাকা টানবে! এইবারে ঝাঁড়ু কিনলে সর্বনাশ!
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, ২০২৩ এর অক্টোবরে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক দুইশো কোটি টাকার উপরে শস্য বিমার টাকা পেয়েছেন। এবার খারিফ সিজনের ফসল ক্ষতির টাকা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
এই শস্য বিমার টাকা কৃষকদের পাইয়ে দিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বহু কৃষক টাকা পেয়ে গিয়েছেন। অবশিষ্টরাও খুব জলদি টাকা পেয়ে যাবেন বলে রাজ্য সরকার ও বিমা কোম্পানি সূত্রে খবর।
এইধরনের গুরুত্বপূর্ণ আরও বিভিন্ন গরমাগরম ও লেটেস্ট খবরের ডিটেইলস ও সরাসরি আপডেট পেতে আমাদের Telegram ও হোয়াটসঅ্যাপ এ যুক্ত হতে পারেন।
টেলিগ্রাম:- Link
হোয়াটসঅ্যাপ:- Link