মেলানিনের অভাবে চুলে পাক ধরেছে? খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে কালো চুল ফিরে পান! জেনে নিন ক্যাটালগ।

এখন চুলে পাক ধরা এক গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যদিও চল্লিশ-পঞ্চাশ বছরের উর্ধ্বে চুলে পাক ধরা একটি সাধারণ ব্যাপার, তবে কম বয়সে চুল সাদা হলে দুর্দশার শেষ থাকেনা। পরিণত বা মাঝ বয়সের আগেই চুল পেকে গলে অনেকেই জনসমক্ষে আসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। তখন রং এর মাধ্যমে চুল কালো করে বাকি জীবনটা কাটাতে হয়। অনেকে অবসাদেও ভোগেন। তবে কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে জিনগত কারণ কে অল্প বয়সে চুল সাদা হওয়ার প্রধান কারণ মানা হলেও খাদ্যাভাস কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

   

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এখন পাঁচ-দশ-কুড়ি বছর বয়সীদের মধ্যেও অনেকের চুল পেকে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের কারণে বর্তমান যুবসম্প্রদায় কে এই গভীর সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। যুবক-যুবতীরা বর্তমানে ফাস্টফুড ও মশলা জাতীয় আহার বেশি পচ্ছন্দ করছেন। আর এই জাতীয় খাদ্য-খাবারে স্বাদ ও গন্ধ আনার জন্য প্রচুর কেমিক্যালস ব্যবহার করা হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

মানব দেহের চুল কালো হওয়ার জন্য দায়ী উপাদান টি হলো মেলানিন রঞ্জক। বর্তমানে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে চুল পাকার যে সমস্যা হচ্ছে, তা সম্পর্কে বলে রাখা ভালো চুল কিন্তু একদিনে পাকে না। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। চুল প্রথমে ধূসর হয়ে তারপর ধীরে ধীরে সাদা বর্ণ ধারণ করে। কোনো কারনে শরীরে যদি মেলানিন প্রোটিন উৎপাদনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায় বা চুলের গোড়ার কোষগুলি (Hair Cell) মেলানিন উৎপন্ন করা বন্ধ করে দেয়, তবে চুল ধূসর (Hair Graying) হতে থাকে।

তাই পুষ্টিবিদ ও ডায়াটিশিয়ানেরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে বলেছেন যা শরীরে মেলানিনের মাত্রাকে ঠিক রাখে। চুলের গোড়াকে মজবুত করে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই খাবারগুলোর ক্যাটালগ নিচে দেওয়া হলো। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার চুলের গোড়ার কোষে আবারো মেলানিন উৎপন্ন হওয়া আরম্ভ করবে। এবং এইভাবে আপনার কালো চুল পাকা হওয়া রোধ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ- কাস্ট সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করেছেন? ভেরিফিকেশনে আবেদন বাতিল না মঞ্জুর হলো স্ট্যাটাস চেক করে বুঝে নিন।

মেলানিন বৃদ্ধিতে সহায়ক চুলের পুষ্টির জন্য দায়ী খাদ্য তালিকা:-

১) অ্যাভোকাডো।
২) কাঠবাদাম।
৩) অরেঞ্জ।
৪) গাজর।
৫) বিট।
৬) আমলকী।
৭) ডার্ক চকলেট।
৮) মাশরুম।
৯) দেশি মুরগীর ডিম।
১০) লাল বাঁধাকপি।
১১) ব্রকোলি।
১২) মিষ্টি কুমড়ো।
১৩) বিনস।
১৪) সয়াবিন।
১৫) ফ্যাট যুক্ত মাছ।
১৬) সবুজ শাক-সবজি (পালংশাক, লেটুস, ও সবুজ তরকারি)।

যদিও এখনকার শাক-সব্জি কেমিক্যালস ছাড়া হয়না তাই বাজার থেকে সব্জি কিনে আনার পর তা কাটা ও রান্নার পূর্বে ঘন্টাখানেক মতো জলে ভিজিয়ে রাখলে উপকার হয়। উপরিউক্ত এই খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন খনিজ উপাদান (ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, কপার ইত্যাদি), প্রচুর ভিটামিনস ( Vitamin A, K,E ইত্যাদি), ফ্যাট-প্রোটিন (ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড) ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এলিমেন্ট বর্তমান, যা শরীরে মেলানিনের উৎপাদন স্বাভাবিক রেখে চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং চুলের পুষ্টি জোগায়।

এভাবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে চুলের যত্ন নিন এবং কালো চুল ফিরে পান কিছু মাসের মধ্যে। তবে যাদের জিনগত কারণে চুল পেকে যাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করাই শ্রেয়। এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে Google News, Facebook, WhatsAppTelegram এ আমাদের ফলো করুন।

Like Facebook Page