সমাজে মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষকরাই আগামী প্রজন্মের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করে থাকেন। এবার এই শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে লেটার পাঠাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশেই এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কেন বেঁছে বেঁছে শিক্ষকদের লেটার পাঠাচ্ছে এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট সমস্ত টা জানুন আজকের এই প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্তে একাধিক অনিয়ম ও অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। তদন্তে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে। এই কান্ডের সাথে জড়িত বহু ব্যক্তি এখন সংশোধনাগারে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শিক্ষকদের যোগ্যতা মাপতেই এই নয়া নীতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, গত বৎসর থেকেই রাজ্যে নতুন শিক্ষানীতি চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই নয়া নীতি অনুযায়ী রাজ্যের স্কুলগুলোতে যেসকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা পড়ুয়াদের পাঠদান করে থাকেন, এবার তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর মাধ্যমে যেসকল ব্যক্তি অযোগ্যভাবে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন তাদের ছেঁকে নিতে চাইছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষকদের এই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা কতদিন ধরে পড়াচ্ছেন, কি অভিজ্ঞতা রয়েছে ইত্যাদি তথ্য ডিসেম্বরের মধ্যে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে স্কুল গুলিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
এই বিষয়ে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চিঠি পাঠিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া মানিক ভট্টাচার্য যে কলেজে অধ্যক্ষের চাকরি পেয়েছিলেন তার নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলেই। সেভাবে দেখতে গেলে কম বেশি বাম আমলেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল -একথা উচ্চ আদালতকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
তবে এতদিন শিক্ষকতা করার পরে এখন হঠাৎ কেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাইছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এই নিয়ে রাজ্যের বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষকমহলের মধ্যে জলঘোলা হচ্ছে। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহলের মন্তব্য, আসলে শিক্ষকদের এই বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়ার মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়া হবে কোনও শিক্ষক যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন কিনা।
আরও পড়ুনঃ- ডিএ বৃদ্ধির পর সরকারি কর্মীদের জন্য ফের বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের।
যদি দেখা যায় কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যথেষ্ট যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অযোগ্যভাবে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, তবে শিক্ষক ও নিয়োগকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে সরকার বলে রাজ্য মধ্য শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবরের খুটিনাটি আপডেট সর্বদা সবার আগে পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম চ্যানেল এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ। তথ্যটি পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করবেন।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হন:- Link
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন:- Link
টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন:- Link