রেশন সামগ্রী পেতে সকল গ্রাহককেই মানতে হবে এই নিয়ম। নাহলে রেশন পাবেন না উপভোক্তারা।

রাজ্যে প্রায় ৯ কোটি এবং সারা দেশে একশো কোটির অধিক রেশন উপভোক্তা রয়েছেন যাদের ডিজিটাল খাদ্যসাথী কার্ড দিয়ে প্রত্যেক মাসে রেশন ডিলারদের কাছ থেকে ফ্রী রেশন এবং বেশ কিছু সামগ্রী (কেরাসিন তেল, চিনি ইত্যাদি) ন্যায্য মূল্য দিয়ে কিনে নেন গ্রাহকেরা। তবে রেশনে তোলাবাজি নিয়ে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসায় গ্রাহকদের রেশন উত্তোলনের ক্ষেত্রে একাধিক নতুন নিয়মাবলি জারি কেন্দ্র সরকার ও খাদ্য দপ্তর।

   

বিশাল জনসংখ্যার দেশে যথেষ্ট রেশন উপভোক্তা ছাড়াও সরকারি আধিকারিকরা কোটি কোটি জাল রেশন কার্ড উদ্ধার করেছে। এই ভুয়া রেশন কার্ডের মাধ্যমে এতদিন অতিরিক্ত রেশন সামগ্রী তুলে নিচ্ছিল অসাধু ব্যক্তিরা। এই বিশাল সংখ্যক জাল রেশন কার্ড গুলিকে শনাক্ত করে সেগুলি বাতিলও করেছে খাদ্য দফতর। তাই কোটি কোটি সাধারণ মানুষকে রেশন দ্রব্য বন্টনের ক্ষেত্রে রেশন দ্রব্য চুরি, জালিয়াতি ও রেশন দুর্নীতি বন্ধ করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করেছে কেন্দ্র সরকার।

বেশ কিছু বছর ধরে রেশন কার্ডের সাথে রেশন সুবিধাভোগীদের মোবাইল নম্বর ও আধার তথ্য সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাতের আঙুলের ছাপ দিয়েই এতদিন রেশন সামগ্রী তোলা গেলেও রেশন ডিলারদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই হাতের আঙুলের ছাপ না মেলায় অনেক সময়ই হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় রেশন গ্রাহকদের। বিশেষত যাদের হাতের আঙুল কেটে গিয়েছে বা আঙ্গুলের ছাপের দাগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ- দীপাবলিতে খুশির আমেজ! সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ডিএ বাড়লো ৪ শতাংশ।

যদিও খাদ্য দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আঙুলের ছাপ না মিললে মোবাইল ওটিপি ও আধার নম্বরের মাধ্যমে রেশন বিলি করতে। তবে অনেক পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইল না থাকায় কিম্বা আধার নম্বরের মাধ্যমেও সঠিক রেশন উপভোক্তাদের চিহ্নিত না করায়, এবার থেকে ব্যক্তির চোখের মনি স্ক্যান করে রেশন সামগ্রী বন্টন করা হবে উপভোক্তাদের এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

রেশন সংক্রান্ত সবরকমের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা গুগল নিউজ এ অনুসরণ করতে পারেন।

হোয়াটসঅ্যাপ:- Link

গুগল নিউজ:- Link

টেলিগ্রাম:- Link

ফেসবুক:- Link

Like Facebook Page