দীপাবলিতে খুশির আমেজ! সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ডিএ বাড়লো ৪ শতাংশ।

কালীপুজোয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনারদের দারুণ উপহার দিল রাজ্য সরকার। দিওয়ালির আগেই সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness Allowance) একেবারে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দিল সরকার। উৎসবের মরশুমে এমন খুশির খবরে আনন্দে আত্মহারা সরকারি চাকুরিজীবী ও পেনশন প্রাপকরা। কবে থেকে এই ডিএ পাবেন তারা বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।

   

সম্প্রতি অক্টোবরে কেন্দ্র সরকার বিজ্ঞপ্তি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে জুলাইয়ে ডিএ বৃদ্ধির যে প্রতিশ্রুতি কেন্দ্র দিয়েছিল, তা বহাল থাকছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মকর্তাদের DA ৪২ শতাংশ থেকে ৪% বৃদ্ধি করে ৪৬ শতাংশ করা হলো। অর্থাৎ এর ফলে জুলাই, ২০২৩ এর ডিএ বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা কেন্দ্র সরকারী কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে।

সেইমতো এদিন রবিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিধানসভায় ঘোষণা করেন, জুলাইয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪ শতাংশ বর্ধিত করা হলো। নভেম্বরে এই ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও চলতি বছর জুলাই থেকেই কার্যকর হবে এই মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান। পাশাপাশি পেনশনারদেরও ডিএ একই হারে বৃদ্ধি করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার।

তবে কেন্দ্র সরকার, বিজেপি শাসিত ও বিরোধী দল শাসিত অনেক রাজ্যই সরকারি কর্মীদের ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ দিলেও বেশ কিছু বিরোধী দল শাসিত রাজ্য তাদের সরকারি কর্মীদের উক্ত সমহারে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করে না। বেশ কিছু বিরোধী দল শাসিত অঙ্গরাজ্য তথা পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীদের ডিএর সাথে কেন্দ্র সরকারী কর্মীদের ডিএর বিস্তর ফারাকের জন্য কম ডিএ পাওয়া রাজ্য সরকারী কর্মীদের যৌথ মঞ্চ বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছে।

আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করে। হাইকোর্টের রায় আন্দোলন কর্মীদের পক্ষে যাওয়ায় রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চেয়েছে। রাজ্য সরকারের যুক্তি হাইকোর্টের নির্দেশমতো রাজ্য সরকারী কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার জন্য ৪১,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে যা বর্তমানে রাজ্যের কোষাগার থেকে দেওয়া একরকম অসম্ভব।

আরও পড়ুনঃ- এই জেলায় বাতিল ৮ লক্ষ ২৬ হাজার রেশন কার্ড। আপনার টা নেই তো?

তবে, দশমবারের মতো রাজ্যের এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির তারিখ অনেকদিন পিছিয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তারপরেই কোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই মামলার এজলাসে থাকা বিচারপতি রায়দান করবেন। তাই রাজ্যের সরকারি চাকুরিজীবীদের সরকারি যৌথ মঞ্চের আন্দোলকারীরা, সকলেই এখন ফেব্রুয়ারী মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের দিকে তাকিয়ে।

এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট পেতে আমাদের নিম্নলিখিত সোশ্যাল মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন।

টেলিগ্রাম:- Link

ফেসবুক:- Link

হোয়াটসঅ্যাপ:- Link

গুগল নিউজ:- Link

Like Facebook Page