দেশের মহিলাদের জন্য বড় উপহার কেন্দ্রের। প্রধানমন্ত্রীর ফটোতে দুধ ঢেলে নাচানাচি করে উদযাপন করলেন মহিলারা!

ভারতবর্ষে মহিলাদের বড় উপহার দিল কেন্দ্র সরকার। বিজেপি সরকারের আমলে দেশের মহিলাদের জন্য প্রায় ২৭ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যার সমাধানে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য মোদি সরকার কে সাদুবাদ জানিয়েছে দেশসুদ্ধ আমজনতা। পার্লামেন্ট হাউসে এই নতুন বিল পাসের পর আনন্দে মাতোয়ারা দেশের মহিলারা।

   

উল্লেখ্য, গত প্রায় তিন দশক ধরে ঝুলে রয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। ১৯৯৬ সালে কর্ণাটকের জনতা দলের রাজ্যসভার নেতা তথা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী H D Deve Gowda এর আমলে ৮১ তম Amendment বিলে প্রথম মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রস্তাবের আনে। তবে নানান সমস্যার কারণে এই বিল লোকসভা ও রাজ্যসভা পাশ হযনি।

সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লী তে অনুষ্ঠিত হওয়া G20 সম্মেলন এর আসরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি২০ ২০২৩ এর সভাপতিত্বের দায়িত্ব ব্রাজিল কে হস্তান্তরিত করেন। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে ভারত সরকার। ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ নতুন সংসদ ভবনের সংসদীয় কাজ কর্মের জন্য নতুন পার্লামেন্ট ভবন উন্মোচন করা হয়। তার ঠিক একদিন পরেই লোকসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বিলে সায় দিল কেন্দ্র সরকার।

উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্য লোকসভা ও বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা আসন সংরক্ষণের জন্য বিল ১৯৯৯৬ সালে আনা হলেও বিভিন্ন কারণে তা ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে কংগ্রেস সরকারের আমলে এই বিল পাসের প্রস্তাব উঠলেও শেষপর্যন্ত তা পাস হয়নি লোকসভায়। এরপর ২৭ বছর পর এই বিল পাসে সম্মতি প্রদান করে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলো মোদি সরকার।

রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞ তথা দেশের বিখ্যাত কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে আপামর দেশবাসী এই তেত্রিশ শতাংশ নারী সংরক্ষণ বিলের প্রশংসা করেছেন। এর ফলে ভারতীয় রাজনীতিতে বিধানসভা তথা লোকসভায় নারী কন্ঠস্বর আরও জোড়ালো হবে। দেশজুড়ে মহিলাদের সন্মান, কর্তৃত্ব ও সমানাধিকারের জন্য মহিলারা এই সুযোগ পাওয়ায় এখন পুরুষদের সাথে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন দেশের নারীরা।

আরও পড়ুনঃ- পড়ুয়ারা পাবেন ১২,০০০ টাকা প্রতি বছর। কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ও আবেদন পদ্ধতি শীঘ্রই জেনে নিন।

এই নারী সংরক্ষণ বিলে লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা ও বিধান পরিষদে ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই আসনগুলিতে কেবল মহিলা প্রার্থীরাই নির্বাচন লড়তে পারবেন। মোদি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে দুর্নীতিমুক্ত উন্নত দেশে (Corruption Free Developed Country) পরিণত করার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারই দিকে একধাপ এগোনো গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

কেন্দ্র সরকারের এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়ে এদিন মোদি সরকারের প্রশংসা করেছেন বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাউত থেকে শুরু করে এষা গুপ্তার মতো স্বাধীনচেতা সেলিব্রিটিরা।

এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ খবরের a to z বিবরণের আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপগুগল নিউজ এ ফলো করুন।

Like Facebook Page