কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করে থাকলে বিরাট সুখবর ঘোষণা রাজ্য সরকারের তরফে। পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট, একটি বিশেষ কাজ কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকারী সকল কৃষককে বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। নচেৎ এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষেরা। কি সেই নতুন আপডেট যা না করলে কৃষক বন্ধুর সুবিধা নিতে পারবেন না তা জানতে নিচের সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সন্মান নিধি যোজনার মতো রাজ্যের কৃষকদের কৃষিকাজে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সার, বীজ কেনার জন্য রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে রাজ্য সরকার। যাদের এক একর বা তার বেশি জমি রয়েছে তাদের দশ হাজার টাকা,এবং যাদের এক একরের কম জমি রয়েছে তাদের ন্যূনতম চার হাজার টাকা দেয় রাজ্য। বছরে দুই কিস্তিতে, খারিফ ও রবি শস্যের জন্য এই টাকা দেয় সরকার। তবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আনা হলো নিয়মের পরিবর্তন। এখন থেকে কৃষক বন্ধুর টাকা পেতে এই প্রকল্পে নাম নিবন্ধনকারী সকল কৃষককে বাধ্যতামূলকভাবে একটি কাজ করতে হচ্ছে। কি সেই কাজ?
সম্প্রতি সরকারের তরফে রাজ্যের কৃষকদের উদ্দেশ্যে একটি নতুন আপডেট ঘোষণা করা হয়েছে, যেসকল কৃষক এখনো জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকেন তাদের অতি শীঘ্রই সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিকটবর্তী ব্লক কৃষি দফতর অফিসে সেই নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এর ডিটেইলস, আধার ও ভোটার কার্ড সহ জমা করতে হবে। নাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন কৃষি নাগরিকরা।
এর কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের জয়েন্ট একাউন্ট ধারী কৃষকের কোনো কারণে মৃত্যু হলে সেই তথ্য রাজ্যের কৃষি পোর্টালে আপডেট হতে প্রায় ছ’মাস থেকে একবছর পর্যন্ত লেগে যায়। তাই এই সময়ে প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জমা পরতেই থাকে এবং জয়েন্ট একাউন্টের অংশীদারি অন্য ব্যক্তিরা অনায়াসেই সেই টাকা তুলে নিতে পারেন। তাই এই ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে সকল কৃষককে সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুনঃ- দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে চালু হলো নতুন স্কলারশিপ। ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করলেই টাকা পাবেন।
উল্লেখ্য আঠারো থেকে ষাট বছরের মধ্যে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকারী কোনো কৃষকের আকস্মিকভাবে মৃত্যু হলে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে যান সংশ্লিষ্ট কৃষকের পরিবার। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উক্ত নতুন আপডেট এ আরও বলা হয়েছে, যারা পুরোনো (জয়েন্ট) অ্যাকাউন্টকেই বর্তমানে তাদের সুবিধা পাওয়ার মূল অ্যাকাউন্ট হিসেবে রাখতে চাইছেন তাদের সেই অ্যাকাউন্ট থেকে সরকারি নিয়মমাফিক সুবিধাভোগী ব্যতীত অন্যান্য জয়েন্ট একাউন্ট হোল্ডারদের নাম অফিশিয়ালি বাদ দিতে হবে এবং সেই তথ্যপ্রমাণ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তার দপ্তরে গিয়ে জমা করে আসতে হবে।
রাজ্য সরকারের নতুন নিয়ম অনুসারে এই কাজ করলেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে আর কোনো চিন্তা থাকবে না। সিঙ্গেল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হলেই সংশ্লিষ্ট টাকা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা। এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে নিচে আমাদের ফলো করুন।
টেলিগ্রাম:- Link
ফেসবুক:- Link