মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পাসের পর এই নতুন স্কলারশিপে আবেদন করুন এবং পেয়ে যান ভালো পরিমাণ টাকা।

রাজ্যের যেসকল শিক্ষার্থীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নয় তথাপি পড়ুয়ারা পড়াশোনায় ভালো ও লেখাপড়া করতে আগ্রহী হলে, সেই সকল পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক স্কলারশিপ চালু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে একটা ভালো পরিমাণ টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে যা দিয়ে তারা তাদের পড়শোনার খরচ অনায়াসেই চালিয়ে নিতে পারে।

   

আজকের এই প্রতিবেদনে সেইরকমই একটি স্কলারশিপ (Anant Merit Scholarship) নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এই বৃত্তি Anant Education Initiative এর উদ্যোগে প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে উক্ত সংগঠনের তরফে। এটি একপ্রকার বেসরকারি স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য কি কি শর্ত রয়েছে, আবেদন প্রক্রিয়া, কিভাবে বৃত্তি প্রাপকদের সিলেক্ট করা হবে এবং কি কি নথি প্রয়োজন তা সংক্রান্ত খুটিনাটি তথ্য বিষয়ে নিচে আলোকপাত করা হলো।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

১) এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারী বিদ্যার্থী কে পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠরত হতে হবে।
৩) ন্যূনতম ৭০ % নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে একাদশ ও স্নাতকে ভর্তি হলে এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন।
৪) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ষাট হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।

উপরিউক্ত এই যোগ্যতাগুলি থাকলে অনন্ত মেরিট স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

আবেদন করবেন কিভাবে?

অনন্ত মেরিট স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রথমে https://ananteducation.org/ এ গিয়ে For Scholars এর অন্তর্ভুক্ত Apply Online এ ক্লিক করুন আপনার ডিভাইসের স্ক্রিনে অনলাইন আবেদন পত্রটি ওপেন হবে। এরপর প্রয়োজনীয় নথির সাহায্য অনলাইন আবেদন পত্রটি ভালোভাবে পূরণ করুন। এবারে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে স্ক্যান করে আপলোড করবেন। দরখাস্ত জমার পূর্বে সমস্ত তথ্য ভালোভাবে খতিয়ে দেখে আবেদন সাবমিট করবেন।

কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন?

এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস গুলি প্রয়োজন হবে।

১) আধার কার্ড।
২) জন্মের প্রমাণপত্র।
৩) স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট।
৪) BPL কার্ড।
৫) আবেদনকারীর মাধ্যমিক/ উচ্চ-মাধ্যমিকের মার্কশীট।
৬) আবেদনকারীর পরিবারের বাৎসরিক ইনকামের প্রমাণপত্র।
৭) অনলাইনে আবেদন কররে তথ্য পূরণ করা আবেদন পত্র ডাউনলোড করে পুনরায় আপলোড করতে হবে।
৮) Physically Challenged Certificate (যদি থাকে)।

আরও পড়ুনঃ- কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। এই কাজ না করলে টাকা পাবেন না কৃষকেরা।

কিভাবে স্কলারশিপ প্রাপক নির্বাচন করা হবে?

এই স্কলারশিপে আবেদনকারীদের মেধা ও পরিবারের বাৎসরিক আয়ের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের কতটা প্রয়োজন রয়েছে সেই হিসেবে একটি শর্টলিস্ট তৈরি করা হবে। যদিও এই স্কলারশিপ প্রাপকের অর্ধেক শতাংশ মেয়েদের জন্য বরাদ্দ থাকে এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। উক্ত শর্টলিস্টের প্রার্থীদের ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে সিলেক্ট করে স্কলারশিপ প্রদান করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।

আবেদনের শেষ তারিখ:-

অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই স্কলারশিপে আবেদনের কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। চলতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস প্রার্থীরা এই স্কলারশিপে আবেদন জানাতে পারেন।

এমন আরও নতুন নতুন স্কলারশিপ সম্বন্ধে বিস্তারিত আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রামফেসবুক এ ফলো করুন।

Like Facebook Page