২০১৭ -র প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বড়ো আপডেট। চিন্তায় ঘুম উড়ল শিক্ষকদের!

২০১৪, ২০১৬ -র পর এবার ২০১৭ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে বড়ো তথ্য সামনে আসতে চলেছে। সতেরোর টেট নিয়োগে আরও বড়ো দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো কলকাতা উচ্চ আদালতে। এই খবরে রীতিমতো চিন্তায় ঘুম উড়ছে প্রাথমিকে নিয়োজিত শিক্ষকদের। এসএসসি কে তিন বিকল্প ও আলটিমেটাম কলকাতা হাইকোর্টের।

   

লোকসভা নির্বাচনের আবহেই রাজ্যজুড়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। চৌদ্দ সালে প্রাথমিকে নিয়োগে ওএমআর দুর্নীতি, ২০১৬ তে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে প্যানেল এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠে। এবার ২০১৭ -র নিয়োগ নিয়ে আরও এক মামলা উঠলো বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে।

এদিন মঙ্গলবার আদালতে, ২০১৭ এর প্রাথমিক নিয়োগের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার মামলা দায়ের হয়। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জাস্টিস সান্থা জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন কে ১ দিন সময় দেওয়া হলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। যদি প্রশ্নপত্রে ভুল থাকে, তবে সকলকে সেই প্রশ্নের জন্য নম্বর দিতে হবে। প্রশ্নপত্র নির্মাতা অভিজ্ঞদের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়ে যদি প্রমাণিত হয় যে প্রশ্নটি সত্যিই ভুল বা আংশিক সত্যি তবে সেই অনুযায়ী তাদের নম্বর দিতে হবে নতুবা, প্রশ্নপত্র ভুলের জন্য সকলের ১ নম্বর মাইনাস হবে।

সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য কমিশন কে একদিনের সময় দিয়েছে আদালত। তবে তৃতীয় অপশন বাছলে বহু প্রার্থীর নম্বর কমে তো যাবেই। অনেকে ফেইল ও করতে পারেন। ইতিমধ্যেই ২০১৪ এর ৪২,০০০ এবং ২০১৬ এর ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে এসএসসি এবং চাকরিহারা রা।

রাজ্যের বড় ধাক্কার মাঝেই ২০১৭ এর SSC প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ মামলা আবার নতুন জট পাকাতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বিশেষজ্ঞদের অভিমত যারা স্বচ্ছভাবে পাশ নম্বরের ওপরে নম্বর পেয়ে এবং বোর্ড ইন্টারভিউ এ নির্বাচিত হয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। ওএমআর পুনঃ মূল্যায়ন হলে তাদের চাকরি তো যাবেই না উল্টে তাদের চাকরি ফিরে পাবেন তারা।

big breaking news on 2017 primary tet recruitment

আরও পড়ুনঃ- ২০১৪ এর পর এবার ২০১৬ -র প্যানেল থেকে ২৫,০০০ এর বেশি চাকরি বাতিল! কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।

এদিন হাইকোর্টের রায় এর পর মহানগরীতে চাকরি না পাওয়া আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে চাকরিহারারা বলেন এসএসসি ও রাজ্য সরকার আদালতকে সহযোগিতা না করার জন্য আজ হাইকোর্টের বিচারের পর তাদের এইভাবে পথে নামতে হচ্ছে। তবে অনেকেই মনে করছেন জল ঘোলা যখন হয়েইছে, তখন ২০১৭ এর প্রাথমিক নিয়োগেও বড়সড় দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে চলেছে।

যদিও অনেকে আবার মনে করছেন, যোগ্যদের কথা না ভেবেই কেবল কিছু অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে আদালতের এই নির্দেশ বেমানান। উল্লেখ্য, বিশেষ সূত্রে খবর, চাকরিপ্রার্থীদের অভিমত, এখনো ২০১৭ -র প্যানেল এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। ২০২২ এ ঘটা করে আয়োজিত টেট এর নিয়োগ এখণও ঝুলে। এরইমধ্যে ভোটের আবহে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসায় কার্যত অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার।

প্রাথমিক নিয়োগ, এসএসসি রিক্রুটমেন্ট এবং পাব্লিক সার্ভিস কমিশনের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত লেটেস্ট আপডেট সবচাইতে তাড়াতাড়ি পেতে হলে নিচের গ্রুপ যুক্ত হন।

হোয়াটসঅ্যাপ:- Link

টেলিগ্রাম:- Link

গুগল নিউজ:- Link

Like Facebook Page