শিক্ষকতার জন্য বিশেষ নিয়ম তৈরি করছে সরকার। শিক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে এই নিয়ম।

রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ নিয়ম লাগু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শিক্ষকতার জন্য প্রণীত এই নতুন নিয়মাবলি ও শর্ত আবশ্যিকভাবে সকল টিচারদেরই মানতে হবে। রাজ্যের নতুন শিক্ষা নীতিতে বিরাট পরিবর্তনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করলো রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জন্য কোন নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে মা মাটি মানুষের সরকার, জানতে হলে পুরো খবরটি মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে পড়ুন।

   

ভারতজুড়ে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে (National Education Policy) যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা অঙ্গরাজ্য গুলিকে গ্রহণ করার জন্য সমর্থন চেয়েছে কেন্দ্র সরকার। গত ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাজ্যজুড়ে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। তবে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী চার বছরের স্নাতক কোর্সের ব্যাপারটি রাজ্য সমর্থন করলেও NEP এর সমস্ত নির্দেশ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার।

যেহেতু শিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্যের যুগ্ম আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়, তাই কেন্দ্রের জারি করা শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত নীতি মানতে বাধ্য নয় রাজ্যগুলি। কেন্দ্রের পরামর্শ মতো মাধ্যমিক পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল মোদি সরকার। এই সিদ্ধান্ত অস্বীকার করেছে বাংলা। নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা অবলুপ্ত করা হবে না। বরং অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ধাপে ধাপে সেমেস্টার পদ্ধতিতে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা মূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।

পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার পূর্বে যেমন দুই বছরের অঙ্গনওয়ারি শিক্ষা তে জোর দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তেমনি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের তিনটি ভাষা (বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি/সংস্কৃত) বিশেষত মাতৃভাষা শেখার ব্যাপারে জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষার্থীরা চাইলে বসবাসকারী আঞ্চলিক ভাষার সুবিধার্থে নিজের পছন্দ মতো ভাষাকে (বাংলা/ইংরেজি/উর্দু/নেপালি/সাঁওতালি/অলচিকি) প্রথম ভাষা হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ- একটানা আগামী তিনদিন ছুটি পেতে চলেছেন শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মীরা?

উচ্চ মাধ্যমিকে সেমেস্টার পদ্ধতিতে মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন এ জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই সাথে পড়াশোনা ও শিক্ষার্থীদের মানদণ্ড পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপরে শিক্ষকতার চাকরি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ শর্ত আরোপ করেছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের নতুন শিক্ষা নীতি অনুযায়ী, ডাক্তারদের যেমন প্রথম পাঁচ বছর গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য পাঠানো হয়, তেমনি নতুন শিক্ষা নীতি তে শিক্ষক শিক্ষিকারাও কর্মজীবনে পাঁচ বছর গ্রামের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে বাধ্য থাকবেন। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, রাজ্যের এই নতুন শিক্ষা নীতির ফলে, ২০৩৫ সালের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটবে বাংলায়।

আরও এরকম অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বিস্তারিত আপডেট পেতে আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক এ ফলো করুন।

টেলিগ্রাম:- Link

ফেসবুক:- Link

Like Facebook Page