কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার অতীত। এই প্রকল্পে আবেদনকারী কে ৩০,০০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

বিভিন্ন খাতে কম আয়সম্পন্ন রাজ্যবাসীর জন্য বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আঞ্চলিক লোকশিল্পীদের জন্য শিল্পীভাতা, রাজ্যের বেরোজগার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, মেয়েদের পড়াশোনার জন্য কন্যাশ্রী, বিবাহযোগ্যা কন্যার জন্য রুপশ্রী, রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী বেকারগের জন্য যুবশ্রীর মতো জনদরদি প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও বিধবা ভাতা, তপশিলি বন্ধু, মানবিক প্রকল্প, জয় জোহর ও শিক্ষাশ্রী এবং ঐক্যশ্রীর মতো একাধিক জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

   

তবে এই সব প্রকল্পকে ছাপিয়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজ্যের আরেক প্রকল্প – সামাজিক সুরক্ষা যোজনা। রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষদের জন্য ভীষণই সহায়ক এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমজীবী ব্যক্তির সন্তানের লেখাপড়ার খরচ থেকে শুরু করে পরিবারের কেউ দুর্ঘটনায় আহত হলে কিম্বা পরিবারের কর্তা (ইনকাম করা ব্যক্তি) শারীরিক অচলাবস্থার সময়, এমনকি কোনো অসুখে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনে এবং আরও বিভিন্ন খাতে ১০ হাজার, ৩০,০০০ ও ষাট হাজার টাকাও দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।

তবে অনেক মানুষই এই প্রকল্পের ব্যাপার বিশেষ কিছু জানেন না। আজকের এই প্রতিবেদনে কোন খাতে কত টাকা দেওয়া হয় তা আলোচনা করবো। এই প্রকল্পে কিভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হয় তা পরবর্তীতে অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে আলোচনা করবো। তার জন্য আমাদের Google News ও WhatsApp এ ফলো করুন।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ তা একনজরে জেনে নিন:-

১) Samajik Suraksha Yojona এ নাম নথিভুক্ত থাকলে শ্রমজীবী ব্যক্তির দু’টি সন্তান পর্যন্ত পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন পরিমাণ টাকা পাবেন।

২) সন্তান 11th ও 12th এ পড়াশোনা করলে যথাক্রমে ৪ হাজার ও ৫ হাজার টাকা করে পেয়ে যাবেন।

৩) সন্তান ITI ও Graduation স্তরে পাঠরত হলে ৬,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন।

আরও পড়ুনঃ- মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পাসের পর এই নতুন স্কলারশিপে আবেদন করুন এবং পেয়ে যান ভালো পরিমাণ টাকা।

৪) অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমজীবী ব্যক্তির সন্তান যদি Polytechnic বা মাস্টার্স লেবেলে পড়াশোনা করে থাকে তবে লেখাপড়ার জন্য বছরে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পাবেন।

৫) আর সন্তানেরা যদি Medical বা Engineering স্নাতক স্তরে পাঠরত হলে উচ্চ শিক্ষার জন্য বার্ষিক সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন রাজ্য সরকারের তরফে।

৬) এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে পরিবারের কেউ দুর্ঘটনায় জখম হলে ১০ হাজার টাকা পাবেন।

৭) পরিবারের কেউ বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য এই প্রকল্পের আওতায় কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাবেন।

৮) বড়ো কোনো অসুখে অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হলেও সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে ষাট হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ দেবে রাজ্য সরকার।

৯) এছাড়াও পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি দুর্ভাগ্যবশত কোনো দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে গেলে, দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললে কিংবা ব্যক্তির মৃত্যু হলে সরকারের তরফে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনা কিভাবে আবেদন করতে হয় তা পরবর্তী প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে আমাদের Telegram ও Facebook এ ফলো করুন।

Telegram:- Link

Facebook:- Link

Like Facebook Page