পাঁচ লক্ষ কাস্ট সার্টিফিকেট অবৈধ বলে রায় দিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিরতদের ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা? আপনার শংসাপত্র এই তালিকায় নেই তো? এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া কি? কেনই বা হঠাৎ করে এত সংখ্যক জাতিগত শংসাপত্র বাতিল বলে রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট বিস্তারিত পড়ুন নিচের প্রতিবেদনে।
চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই বিস্ফোরক রায় কলকাতা উচ্চ আদালতের। বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য সরকারের একাধিক দুর্নীতি পরপর সামনে এসেছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন বন্টন, সবেতেই অসামঞ্জস্য ঘিরে আদালতে মামলা চলছেই। কিছুদিন আগেই ২০১৬ প্যানেল থেকে রাজ্যের প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে ক্যালক্যাটা হাইকোর্ট।
এছাড়াও ২০১৪ এর প্রায় ষাট হাজার চাকরি বাতিলের মামলা বর্তমানে আদালতে ঝুলে রয়েছে। যদিও ষোলো সালের প্যানেল বাতিলের মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য আদালতের কড়া নির্দেশের ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার শুনানি ১৬ই জুলাই এর পরে হবে বলে জানা গিয়েছে। ততদিন রাজ্য সরকারের সিস্টেমেটিক ভাবে বেআইনি নিয়োগ, সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি, ওএমআর দুর্নীতি, এর সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছেন তা প্রমান স্বরূপ সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করার জন্য সিবিআই কে সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশনাল বেঞ্চ।
২০২৪ সাধারণ নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই যখন রাজ্যের একাধিক অনিয়ম-বেনিয়ম দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে, শিক্ষকের চাকরি পেতে Rank Jump, কাটমানি, সাদা খাতা জমা ও OMR নিয়ে মগের মুল্লুক এর জমানায় জগাখিচুরি শিক্ষাব্যবস্থার ভিত, যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষক বাছাইয়ে নাজেহাল স্কুল সার্ভিস কমিশন, ঠিক তখনই সামনে এলো আরো এক অনিয়মের বেড়াজাল। ভোটের একেবারে জমজমাট পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যের ওবিসি সার্টিফিকেট প্রদানকে অবৈধ ঘোষণা করলো কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ- পিএম কিষাণের টাকা তো মিলছেই। পাশাপাশি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন কৃষকেরা।
এদিন বুধবার রাজ্য উচ্চ আদালত জানিয়েছে, ২০১০ এর পরে রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদেয় সমস্ত OBC সার্টিফিকেট বেআইনি বলে চিহ্নিত করলো হাইকোর্ট। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মামলাকারীর আবেদন অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার পর ওবিসি শংসাপত্র প্রদানকালে সংবিধানের ২০১৩ সালের Amendment Bill মান্য করেনি রাজ্য সরকার।
সেই সুবাদে ২০১০ সালের পরে রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বেআইনি ও অবৈধ বলে জানিয়েছে রাজ্য আদালত। সেইমতো ওই শংসাপত্র দিয়ে সুবিধা গ্রহণকারীদের সমস্যায় পড়ার কথা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালতের এই রায় মানেন না তিনি। তবে যারা ২০১০ সালের পরে প্রাপ্ত ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা চাকরিতে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি। চাকরিরত বা চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পর্যায়ে তারাও প্রভাবিত হবেন না। কিন্তু এখন থেকে এই সার্টিফিকেট আর বৈধ থাকবে না অর্থাৎ এই সার্টিফিকেট দিয়ে কোনও সুবিধা নিতে পারবে না কেউই।
এরকম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবরের a to z ও লেটেস্ট আপডেট সরাসরি পেতে আমাদের গুগল নিউজ, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে অনুসরণ করতে পারেন।
টেলিগ্রাম:- Link
হোয়াটসঅ্যাপ:- Link
গুগল নিউজ:- Link